ইসরায়েলের কারাগানে আমরণ অনশন করা খাদের আননান মারা গেছেন। ইসলামি জিহাদ গ্রপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইসরায়েলে বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ‘অবৈধভাবে’ আটকে রাখায় তিন মাস আগে আমরণ অনশন শুরু করেন আদনান। খবর আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে আটক করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকেই ইসরাইলিদের কথিত ‘প্রশাসনিক বন্দিত্বের’ বিরোধিতা করে অনশন শুরু করেন খাজের। ইসরায়েলি কারাগার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আদনান চিকিৎসা সেবা নেয়া এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
কোনও সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বর্তমান ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি। ইসরায়েলি মানবাধিকার গোষ্ঠী গ্রুপ হ্যামোকডের মতে, ২০০৩ সালের পর এই বন্দির সংখ্যা সবেচেয়ে বেশি।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, খাজের আদনানের অধিকৃত পশ্চিমতীরের জেনিন শহরের নিকটবর্তী আরাবা শহরের বাসিন্দা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওয়ায়েদ প্রিজনার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, খাজের আদনানকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও প্যালেস্টাইনিয়ান ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ পলিটিক্যাল পার্টির মহাসচিব মুস্তফা বারগৌতি বলেছেন, এটি খুবই ভয়াবহ একটি ঘটনা। এবং এর জন্য ইসরাইলি সরকার এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভীর ব্যক্তিগতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।
এর আগেও তিনি অধিকারকর্মী অনশন করেছিলেন। ২০১৫ সালে আটকের পর টানা ৫৫ দিন কোনো কিছু খাননি তিনি। ওই সময় কথিত ‘প্রশাসনিক আটক’-এর অধীনে তাকে আটক করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ‘কালো আইনের’ অধীনে যাদের আটক করা হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ না এনে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা হয়।সূত্র: আল জাজিরা।